1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

প্রথম তাদের ছাড়াই ঈদ করবে সিলেটবাসী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১
  • ৩১৩ Time View

শাহিন আহমদ,সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
মহামারি করোনাকালেই তারা চলে গেলেন। তাদের আর দেখা যাবে না সিলেটের রাজনীতিতে। এইর প্রথম তাদে ছাড়াই ঈদ করবেন সিলেটের মানুষ। অথচ গত ঈদে তারা ছিলেন সরব। মানুষের সুখে, দুঃখে ছিলেন পাশে। মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ছুটে গেছেন দ্বারে-দ্বারে। সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন।

করোনায় সাধারণ মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ত্রাণ নিয়ে নেমে পড়েন। খাবার তুলে দেন মানুষের মুখে। গত বছরের রমজান মাস পুরোটাই মানুষের কাছাকাছি ছিলেন কামরান। ঈদের পর তার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। স্ত্রী আসমা কামরান করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এরপর তিনিও আক্রান্ত হন। প্রথমে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। পরে অসুস্থ কামরানকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। করোনা আক্রান্ত হয়েই গত ১৫ই জুন মারা যান সিলেটের ‘জনদরদী’- কামরান।

সিলেটের আরেক অভিভাবক ছিলেন এমএ হক। তিনি ছিলেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও প্রবীণ নেতা। করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে বয়োবৃদ্ধ এমএ হকও ছিলেন সরব। ঘরবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ নিয়ে ছিলেন মাঠে। নিজ এলাকা বালাগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে তিনি ‘ঘরবন্দি’ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। এরপর নিজেই হয়ে পড়েন অসুস্থ। প্রথমে নিউমুনিয়া ধরা পড়ে। ভর্তি করা হয়েছিল সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় ধরা পড়ে তার করোনা। এরপর গত ৩রা জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়েই মারা গেলেন সিলেটের প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ এমএ হক। মাহমুদ-উস- সামাদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন সিলেটের সবচেয়ে ‘এক্টিভ’ এমপি। করোনাকালে একবারের জন্য তিনি এলাকা ছাড়া হননি। সব সময় মানুষের পাশে সরব ছিলেন।

সিলেট-৩ আসনের এ এমপি তার নির্বাচনী এলাকায় ছিলেন জনপ্রিয়। মানুষের সেবা করতে গিয়ে তিনি করোনার তোয়াক্কা করেননি। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারি অনুষ্ঠানাদি পালনের মাধ্যমে সিলেটের অনুষ্ঠান শেষে বিমানে ফিরছিলেন ঢাকায়। বিমানেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে ১১ই মার্চ তিনি মারা যান।

সিলেট-৪ আসনের সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম। ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিকবারের সাধারণ সম্পাদকও তিনি। সজ্জন ব্যক্তি ও ‘রাজনীতিবিদ’- হিসেবে তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি ছিলেন অসুস্থ। অসুস্থার কারণে মাঝে একবার আমেরিকায় গিয়েও তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করে আসেন। এতে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গত এক মাস ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। গত ৩রা মে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ই মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতেও সিলেটবাসী একজন সজ্জন রাজনীতিককে হারালো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..